লেগস নামের এক শহরে চার স্কুল ছাত্রী প্রস্রাব চালিত এই জেনেরেটরটি আবিষ্কার করেছে। এক লিটার প্রস্রাব দিয়ে ৬ ঘণ্টা জেনেরেটর চালিয়েছে তারা
নাইজেরিয়া , আফ্রিকার অন্নতম প্রধান দেশ এবং তৈল খানির জন্য বিখ্যাত।
লেগস নামের এক শহরে চার স্কুল ছাত্রী প্রস্রাব চালিত এই জেনেরেটরটি
আবিষ্কার করেছে। এক লিটার প্রস্রাব দিয়ে ৬ ঘণ্টা জেনেরেটর চালিয়েছে তারা । তাও পরীক্ষা মূলক , বাণিজ্যিক হলে কি হবে!! ভাবতে পারছেন একটি বার ?
যাই হক Maker Faire blog এর মতে সিস্টেমটা নিন্মক্ত প্রক্রিয়ায় চলে –
- ১ – প্রস্রাব একটা ইলেক্ট্রিকসেল / তড়িৎ কোষ এ পাঠানো হয়। যেটা নাইট্রোজেন , পানি আর হাইড্রোজেনকে আলাদা করে ফেলে।
- ২ – তারপর ওই হাইড্রোজেন পানির মধ্যে দিয়ে চালানো হয় পরিশোধনের জন্যে। এরপর এই পরিশোধিত গ্যাস সিলিন্ডারে পাঠানো হয়।
- ৩ – এই সিলিন্ডারের গ্যাস তারপর তরল বরাক্স এর সিলিন্ডারের মধে দিয়ে আবার চালানো হয়, পূর্বের পানি দ্বারা পরিশোধিত ভেজা গ্যাসকে শুষ্ক গ্যাসে রূপান্তর করানর জন্য।
- ৪ – আর সর্বশেষে এই শুষ্ক পরিশোধিত গ্যাস জেনেরেটরে পাম্প করান হয়। আর তখনই বাতি জ্বলতে শুরু করে !!
সত্যি অবাক করা তাই না ? যদিও এখনও এই প্রযুক্তি কোন রকম স্বীকৃতি পাইনি , কিন্তু অদুর ভবিষ্যতে কে জানে কি হতে চলেছে!!
আলোচনার বিষিয়ঃ
- ১ – সাবধানতার কারণে পুরো পাইপ লাইনে একমুখী ভাল্ব ব্যাবহার করা হয়েছে ।
- ২- এটাও অবশ্যই মনে রাখার বিষয় , যে হাইড্রোজেনের কারনে এটা একই সাথে বিস্ফোরক যন্ত্র।
- ৩ - Maker Faire blog – টিতে এটা উল্লেখ করা ছিলনা যে তড়িৎ কোষের বিদ্যুৎ কোথা থেকে এসছিল। আর কি পরিমানে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার ক্ষমতা আছে জেনেরেটরটির।
- ৪ – বাংলাদেশের মত প্রগতিশীল দেশে এমন প্রযুক্তির খুব দারকার। তাই এখন থেকেই যেখানে সেখানে প্রসাব করার অভ্যাস ত্যাগ করাটাই বাঞ্ছনীয়। পরিবেশের কারনে , বিদ্যুতের কারনে । কি তাইনা?
কপি: টেকটিউনস